শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার : উইকেটে ছিল সবুজের ছোঁয়া। বাংলাদেশ মাঠে নামে চার পেসার নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি ২০ ম্যাচে কাল দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ হাতছাড়া করেনি টিম ম্যাজেমেন্ট। এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হয়ে গেল তরুণ ডান-হাতি পেসার হাসান মাহমুদের। এছাড়া তামিম ইকবালকে বিশ্রামে রেখে তার জায়গায় নাঈম শেখ ও শফিউলের জায়গায় সুযোগ দেয়া হয় আল-আমিন হোসেনকে। টস জিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উইকেটে থাকা শুরুর সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান বোলাররাও। পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে সাত উইকেটে ১১৯ রানে থেমে যায়।
শুরু থেকেই বল দারুণভাবে ব্যাটে আসছিল। কিন্তু স্বাগতিক বোলাররা চমৎকার লাইন-লেন্থে বোলিং করেছেন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে সেভাবে চড়াও হতে পারেনি সফরকারীরা। এক উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভারে তারা ৩১ রান তুলতে পারে। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট এনে দেন ডান-হাতি পেসার আল-আমিন। জিম্বাবুয়ের একমাত্র ব্রেন্ডন টেলর ছাড়া কেউই সেভাবে ছন্দে খেলতে পারেননি। টেলর ৪৮ বলে ৫৯* রান করেন। ২০ বছর বয়সী তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন।
এর আগে দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি। অবশেষে কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি ২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেন হাসান। প্রথম বল থেকেই দারুণ লাইনে বোলিং করলেন। খুব কম দূরত্ব থেকেই ভালো বাউন্স দিতে পারেন। একই সঙ্গে গতি ও বৈচিত্র্য রয়েছে তার বোলিংয়ে। সেটাই দেখালেন। চমৎকার বোলিং করলেও উইকেট পাননি। তবে ২৪ বলের ১১টিই ডট দিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজ ও হাসান সমান ২৫ করে রান দেন। দু’জনের ডটবলের সংখ্যাও একই। দুই উইকেট নিয়ে এগিয়ে মোস্তাফিজই। তবু সেরা ছন্দে দেখা যায়নি বাঁ-হাতি পেসারকে।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দারুণ সফল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এ দিন কিছুটা খরুচে ছিলেন। সর্বোচ্চ ৩০ রান দিয়েছেন তিনি। আগের ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া আল-আমিন সেরাটা দিয়েছেন একাদশে ফিরেই। মাত্র ২২ রানে দুটি উইকেট নেন তিনি। অতীতে জিম্বাবুয়েকে বেশিরভাগ সময় স্পিন দিয়েই কুপোকাত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার তিন ফরম্যাটেই ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছে স্বাগতিকরা। পেসারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়েছে। শেষ টি ২০তে আলো ছড়িয়ে তার প্রতিদান দিলেন পেসাররা।
স্কোর কার্ড
জিম্বাবুয়ে
রান বল ৪ ৬
কামুনহুকামওয়ে ক মুশফিক ব আল-আমিন ১০ ১০ ২ ০
ব্রেন্ডন টেলর নটআউট ৫৯ ৪৮ ৬ ১
আরভিন ক সৌম্য ব আফিফ ২৯ ৩৩ ৩ ০
উইলিয়ামস স্টা. মুশফিক ব মেহেদী ৩ ৮ ০ ০
রাজা ক আল-আমিন ব সাইফউদ্দিন ১২ ১০ ২ ০
মুতুম্বামি ক সৌম্য ব আল-আমিন ১ ২ ০ ০
মুতমবদজি ক নাঈম ব মোস্তাফিজ ৩ ৭ ০ ০
মাধেভেরে ক নাঈম ব মোস্তাফিজ ০ ১ ০ ০
মুম্বা নটআউট ১ ১ ০ ০
অতিরিক্ত ১
মোট (৭ উইকেটে, ২০ ওভারে) ১১৯
উইকেট পতন : ১/১২, ২/৬৯, ৩/৭৬, ৪/৯৬, ৫/৯৭, ৬/১০৮, ৭/১১৩।
বোলিং : মোস্তাফিজ ৪-০-২৫-২, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪-০-৩০-১, আল-আমিন হোসেন ৪-০-২২-২, হাসান মাহমুদ ৪-০-২৫-০, মেহেদী হাসান ৩-০-১৪-১, আফিফ হোসেন ১-০-২-১।
বাংলাদেশ
রান বল ৪ ৬
লিটন নটআউট ৬০ ৪৫ ৮ ০
নাঈম কামুনহুকামওয়ে ব এমপফু ৩৩ ৩৪ ৫ ০
সৌম্য নটআউট ২০ ১৬ ০ ২
অতিরিক্ত ৭
মোট (১ উইকেটে, ১৫.৫ ওভারে) ১২০
উইকেট পতন : ১/৭৭।
বোলিং : মাধেভেরে ৩-০-২০-০, এমপফু ৩.৫-০-২৭-১, মুম্বা ৩-০-২৬-০, টিশুমা ১-০-১০-০, শন উইলিয়ামস ৩-০-১৬-০, সিকান্দার রাজা ২-০-১৮-০।
ফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ২-০তে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ : লিটন দাস।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএস